জাকারিয়া হৃদয়, পটুয়াখালী:
স্বাধীনতার পর থেকে শতকরা ৯০ভাগ নৌকার সমর্থক থাকায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিত। সেই মুজিবনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপি ও যুবদলের সাবেক দুই নেতাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারি ঘোষনা করে আলোচনায় এসেছেন পটুয়াখালী-৪ কলাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মুহিব।
রবিবার বিকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ডিগ্রি কলেজ মাঠে আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ডেকে তিনি এককভাবে এ কমিটি ঘোষনা করেন। এর কয়েকদিন আগে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় জেলার নেতৃবৃন্দদের সাথে আলাপ করে ধানখালী আওয়ামীলীগের সম্মেলন স্থগিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন জানান, “এমপি সাহেব কাজটা ঠিক করেননি। দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ এটি এতে আমরা ক্ষুব্ধ।”
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান বলেন, এমপি কর্তৃক ঘোষিত ওই কমিটি অনুমোদন দেয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। যেখানে জেলার নেতৃবৃন্দদের সাথে আলাপ করে সম্মেলনই স্থগিত করা হয়েছে সেখানে তার (এমপি) ঘোষিত কমিটি অনুমোদনের কোন সুযোগ নাই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্থগিতকৃত সম্মেলনে গিয়ে এমপি সাহেব যে কাজটি করেছেন সেটা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার শামিল।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা সাংবাদিক সম্মেলনসহ লিখিতভাবে পুরো বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করিয়েছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমানের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে তার সাথে সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন জানান, টিনু মৃধা সেচ্ছাসেবক লীগে যোগ দিয়ে দলের জন্য অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছে। দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। এটা কি দলের প্রতি তার অবদান না? তাছাড়া সভাপতি ও সেক্রেটারির একক প্রার্থী থাকায় তাদেরকে এমপি সাহেব ওই পদের জন্য ঘোষনা দিয়েছেন।
Leave a reply