বছর ঘুরে আবার শীতের আনাগোনা শুরু। খাবার দাবারের বেলাতেও যেমন নানা মুখরোচক পিঠা পায়েসের দেখা মিলে তেমনি নানা পদের সবজি থেকে শুরু করে ফলমূলের বাহার থাকে পুরো শীতজুড়ে। শীত মানেই যেন উৎসব। এসব ছাড়াও শীতের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে শীতের সময়ের নানা ধরনের ডিজানের ফ্যাশনেবল পোশাক। গরম কাপড়, এ সময় রোদে দেয়ার সব চেয়ে উপযুক্ত সময়। যেহেতু শীতের কাপড় একটা লম্বা সময় পর্যন্ত গুছিয়ে রাখা হয় তাই তা নামিয়ে একটু ঝেরে মুছে নেয়া জরুরি। সেই ক্ষেত্রে শীতের কাপড় যেমন শাল, চাদর, সোয়েটার রোদে রাখলে পরে তা বেশ ফুরফুরে আমেজে পরা যায়। অন্যদিকে যারা শীতের কাপড় ধুতে চাচ্ছেন তারা এসব পোশাক বাসায় না ধুয়ে ড্রাই ওয়াশে দিলে নষ্ট হওয়ার ভয় কম। তবে শাল বাসায় পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানি এসব পোশাক ধোয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত। ঠাণ্ডা পানি যেমন কাপড়ের রং নষ্ট করে না তেমনি কাপড়ের আয়তন বেড়ে যাওয়া কিংবা কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়া এসব বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না।
এছাড়া শীতে ব্যবহৃত লেপ কিংবা কম্বল এ সময়ে রোদে দিতে পারেন। কানটুপি, মাফলার, হাত মোজা, পা মোজা এসব টুকিটাকি জিনিস ধুয়ে শুকিয়ে নিন। অতিরিক্ত রোদে দেবেন না। এতে কাপড়ের রং ঝলসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে কোট আর লেদারের কাপড়ের বেলায় তা লন্ড্রিতে দিয়ে আগে ভাগেই পরিষ্কার করিয়ে নিন যাতে পরবর্তিতে হাতের নাগালেই পেয়ে যান শীতের সময়।
এছাড়া শীতের আগে আগে শীতের কাপড় নতুন করে ভাঁজ করে হাতে নাগালে রাখুন। কাপড় রাখার তাক ঝেরে মুছে পরিষ্কার করে নিন। কম্বল বা লেপ প্রয়োজন মনে হলে বানিয়ে কিংবা ধুনিয়ে নিতে পারেন আগে ভাগেই, যাতে করে শীতের সময়টি আপনি উপভোগ করতে পারেন নিজের মনের মতন করে।
Leave a reply