তিনতলা ‘মরণফাঁদ’ ভবন বানানো হয়েছে চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানঘাট জিটি রোড এলাকায়।
হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের লাইন ভেতরে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে ভবনটি।
এ ভবনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তারা বলছেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে আহ্বান ছাড়া আর কিছুই নয়।
চলমান হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎলাইন ভেতরে রেখেই ভবন নির্মাণের ছবিটি ও স্থানীয়দের দাবিতে টনক নড়েছে প্রশাসনের।
ওই ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ। ভবনের সামনের অংশ ভাঙার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানঘাট জিটি রোড এলাকায় তিনতলাবিশিষ্ট ভবন তৈরি করেন সৌদি আরব প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী মাসুদা বেগম। পৌরসভার অনুমোদনকৃত ভবন তৈরির নকশা অমান্য করে আড়াই শতক জমির ওপর তিনতলা ভবনটি তৈরি হয়।
ভবনের দ্বিতীয় তলার মাঝখান দিয়ে দুই পাশের দেয়ালের কিছু ইট সরিয়ে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের তার রুমের ভেতর দিয়ে নেয়া হয়।
কয়েক দিন আগে সম্পন্ন হয় ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবন নির্মাণকাজ।
তবে এমন বিপজ্জনক ভবন নির্মাণের জন্য পুরো দোষই ঠিকাদারকে দিলেন এর মালিক মাসুদা বেগম।
তিনি বলেন, আমার স্বামী দেশের বাইরে থাকে। দেখভালের কেউ ছিল না। ঠিকাদারকে বলেছিলাম– বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিয়ে ভবনটি নির্মাণ করতে। কিন্তু ওই ঠিকাদার আমার কথা না শুনে এমন কাজ করেছে। আর আমিও ঠিকভাবে তদারকি করতে পারিনি।
তবে এভাবে ভবন নির্মাণের আগে মালিককে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তার সরানো বা সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছিল, এমনটিই অভিযোগ স্থানীয়দের ।
কিন্তু তিনি ও তার ঠিকাদার স্থানীয়দের কথায় পাত্তা দেয়নি বলে জানান তারা।
চাঁদপুর পৌরসভার নকশাকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার নির্ধারিত ভবন তৈরির নকশা অমান্য করে বৈদ্যুতিক তার ভেতরে রেখে এ ধরনের ভবন নির্মাণ ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম ইকবাল জানান, ভবনের ভেতর দিয়ে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজের যে তার প্রবাহিত হয়েছে, তা ৪০০ ভোল্টের। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার দুপুরে ওই ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply