নিম্নগামী গ্রাফ বজায় রাখল জিডিপি। চলতি অর্থবর্ষের জুলাই থেকে সেম্পটেম্বরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে। গত আর্থিক ত্রৈমাসিকে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। গত বছরে এই ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি হার ছিল ৭ শতাংশ। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ৪.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার। গত ছয় বছরে এটাই জিডিপি হারের নিরিখে সব থেকে কম বৃদ্ধি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা। যা ইতিমধ্যে সরকারের পূর্ণ আর্থিক বর্ষের বাজেটের হিসাব ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আশঙ্কা ছিল আগেই:
আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে প্রকাশ হতে চলা এই ত্রৈমাসিকের জিডিপি ৫ শতাংশের নিচে নেমে যাতে পারে। দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক এক রিসার্চ রিপোর্টে জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) অর্থনীতির বৃদ্ধির হার গত ছয় বছরের তলানি ৫ শতাংশ নেমে এসেছিল। এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার আরও কমে ৪.২ শতাংশ হতে পারে। তবে আশঙ্কা মতো ৪.২ শতাংশে নামেনি প্রবৃদ্ধির হার। তবে সেই সংখ্যার খুব কাছে পৌঁছে যায় জিডিপি।
কী কারণে জিডিপি পতন?:
দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২% নেমে আসতে পারে বলে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি ফলন নষ্ট ও খনন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এর আগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ সকলেই চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল।
শেয়ার বাজারে পতন:
এদিকে পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন মন্ত্রকের তরফে আজ সন্ধ্যা নাগাদ জিডিপি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে। এই রিপোর্ট প্রকাশের আগেই আজ শেয়ার বাজার দেখল বড় পতন। বৃহস্পতিবার সর্বকালীন শিখরে পৌঁছায় শেয়ার বাজার। তবে জিডিপি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের আবহে আজ বাজার ৩৩৬ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স।
Leave a reply