২০১৫ সালের ‘পরমাণু চুক্তি’র আওতায় ইরানকে বেসামরিক খাতে ব্যবহৃত পরমাণু চুল্লিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সুযোগ দিচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো। তাহলে সৌদি আরব কেন একই কাজ করতে পারবে না- এমন প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য তুর্কি আল ফয়সাল।
প্রিন্স তুর্কি বলেন, ইরান ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পরাশক্তির সাথে চুক্তি করে পারমানবিক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদেরও পূর্ণ অধিকার আছে পারমানবিক প্রকল্প চালু করার।
সৌদি আরবে দুটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগামী সপ্তাহেই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে যাচ্ছে রিয়াদ। এ ব্যাপারে সৌদি আরবের বক্তব্য হচ্ছে, পরমাণু জ্বালানি উৎপাদন করে তা শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্যই এই চুল্লিগুলো নির্মাণ করা হবে।
আল ফয়সাল আরও বলেন, ইরান যদি বিশেষভাবে ইউরেনিয়াম ব্যবহার উন্নত করার অনুমতি পায়, তাহলে সৌদি আরবেরও নীতি মেনে এরকম করবে। এতে কারো বাধা দেয়ার কিছু নেই।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শেষ সময়ে ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি অবশ্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চালিয়ে নিতে চাচ্ছেন না। একাধিবার তিনি চুক্তি বাতিলের পক্ষে বলেছেন। তবে আরও ৫টি দেশ চুক্তি জড়িত থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে না।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দুই প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব ও ইসরায়েল মনে করে ইরান পরমাণু চুক্তির আড়ালে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করে থাকতে পারে, যা দেশ দুটি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ।
Leave a reply