স্কুলে ভর্তি হয়েই বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেন? হ্যাঁ পারেন! এমনটাই ঘটেছে রাজধানীর ভিকারুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজে। ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব গোপাল কুমার দাসের সন্তানকে ভর্তি করেছেন বছরের এই সময়ে। অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে ভিকারুননিসায় মেয়েকে ভর্তি করান গোপাল কুমার দাস। আর এই ভর্তিতে বদলিজনিত কারণ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোটার বিধান অনুসরণ করা হয় দাবি তাদের।
ওই উপ-সচিব ও অধ্যক্ষের দাবি বদলিজনিত কারণে এই ভর্তি এতে নিয়মের কোন ব্যতিক্রম হয়নি। একই বক্তব্য ঢাকা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের।
তবে গভর্নিং বডির সাবেক এক সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ এই ভর্তিকে অবৈধ দাবি করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে অধ্যক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি মানতে নারাজ সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য ইউনূস আলী আকন্দ। ভিকারুননিসার অধ্যক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ,ঢাকা বোর্ড ও দুদকে চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন। তাঁর বক্তব্য ভর্তির শেষসীমা পার হয়েছে মার্চ মাসে। নেই শূন্য পদ এবং নতুন করে ভর্তির আইনী সুযোগও। এই অতিরিক্ত ভর্তিকে অনিয়ম দেখিয়ে গত মেয়াদের গভর্নিং বডির সদস্যদের এবারের নির্বাচনে প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারীকে মন্ত্রণালয় ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি ক্ষমতা বলে শিক্ষা অনুরাগী সদস্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মমিনুর রহমানকে নিয়োগ দেন। যদিও আইন অনুযায়ী এই সদস্য হিসাবে স্থানীয়দের নিয়োগ পাওয়ার কথা।
ভিকারুননিসার ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে অধ্যক্ষ পদে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান পদে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিদ্বতসাহী সদস্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Leave a reply