ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পিয়নের চাকরি করে তিন বাড়ির মালিক বনে গেছেন ইয়াছিন শাহ নামে একজন। সম্প্রতি অডিটে তার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ধরা পড়েছে। এরপর থেকে পলাতক ইয়াছিন। থানায় জিডিও করেছে সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃপক্ষ।
বিলাস বহুল তিনটি বাড়ি। দেখলে প্রশ্ন জাগতে পারে মালিক কে? মনে হতে পারে বাড়ির মালিক হয়তো কোন ব্যবসায়ী বা বড় চাকরিজীবী। কিন্তু জেনে অবাক হবেন-বাড়ি তিনটি মালিক একজন পিয়ন। নাম তার ইয়াছিন মিয়া।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চাকরি স্থায়ী হয় ইয়াছিনের। এরপর বিভিন্ন উপজেলায় বদলি হলেও, ঘুরেফিরে সেই সদরে ফিরে আসেন তিনি। এখনও ডেপুটেশনে এখানেই আছেন। সম্প্রতি অডিটে ধরা পড়ে তার দুর্নীতি। অভিযোগ ওঠে, ব্যাংকের ভূয়া চালান তৈরি করে, কোটি টাকা আত্মসাতের। এরপর গাঁ ঢাকা দেন অভিযুক্ত পিয়ন। হয়েছে থানায় জিডিও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে এবিষয়ে তদন্ত চলছে,তারা সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই করবো।
এদিকে অভিযোগ আছে, বাড়ি ছাড়াও, দুর্নীতি করে আরও বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন ইয়াছিন। করেছেন একাধিক বিয়ে। এরমধ্যে তিন স্ত্রী থাকছেন তিন বাড়িতে।
একজন পিয়ন হয়ে এতো সম্পত্তির মালিক হলেন কিভাবে? এ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বিষয়টা অলৌকিক মনে হচ্ছে, একটা পিয়নের দ্বারা কিভাবে এতো টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব। একসাথে তিনটা বাড়ি তৈরি করেছে এটা আশ্চর্যজনক।
জিডি’র পর থেকে ইয়াছিনের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
Leave a reply