মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতো-এ দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিদের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে মিয়ানমার বিমান বাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান সহ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যেসব কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে তা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়। এই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এশিয়ান হিউম্যানেটেরিয়ান ইমারজন্সে রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শীঘ্রই সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি কর্তৃক সর্বাত্বক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছে সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডি (IED) এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়।
মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন কর্তৃক বাংলাদেশের আকাশসীমা লংঘনের বিষয় তুলে ধরা হয় বৈঠকে। সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে জানায় মিয়ানমার।
সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক বাংলাদেশে প্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যেকোন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বুঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয় মিয়ানমার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয় বলে জানায় তারা। কখনও দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে। এছাড়া বিচ্ছিন্নতবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশেও সহায়তাও চেয়েছে নেপিতো।
দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণের বিনিময় কর্মসূচি ও বিভিন্ন পর্যায়ের সৌজন্যমূলক যাতায়াত বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা সেনাপ্রধানদের মধ্যে।
Leave a reply