বাদামী বর্ণের পুঁচকে বিড়ালছানা বেটি বি। আর দশটা বিড়ালছানার মতোই হতে পারতো তার জীবন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয় বেটি জন্মেছে নানা ধরনের অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে। এই বিড়ালছানাটির মুখমণ্ডল দুটি! সব মিলিয়ে তার দুটি নাক, দুটি মুখ এবং তিনটি চোখ।
১২ ডিসেম্বর পূর্ব কেপহোমে আরও দুটি সুস্থ স্বাভাবিক বিড়ালের সাথে বেটি বে নামের ভিন্ন ধরনের বিড়ালটি জন্ম নেয়। এটিকে স্ত্রী-জাতীয় বলে শনাক্ত করা হয়েছে। রোমানদের দুই-মুখ বিশিষ্ট দেবতা-জেনাসের নাম অনুসারে এই ধরনের বিড়াল সদৃশ প্রাণীকে ‘জেনাস ক্যাট’ বলে অভিহিত করা হয়।
দ্বিমুখী গড়নের ফলে বেটির যত্ন নেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেতে না পেয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে বিড়ালছানাটি। এ ধরনের জন্মগত ব্যাধিকে ‘ক্রানিওফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন’ বলা হয়। এসব ক্ষেত্রে শারীরিক বিকলাঙ্গতা থেকে সৃষ্ট নানাবিধ জটিলতার কারণে প্রাণীটি বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে না।
বেটি বি’কে বাঁচানোর জন্য তার মালিক তাকে নিকটস্থ এক প্রাণী উদ্ধারকারীর কাছে নিয়ে যায় যে কিনা বিড়ালের বিশেষ যত্ন নিতে জানে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই উদ্ধারকারী একটি বিশেষ টিউব দিয়ে বেটি’কে খাওয়াতে থাকে এবং আবিষ্কার করে তার দু’টি মুখই কার্যকর এবং পাকস্থলীর সাথে সংযুক্ত।
বেটি বি’র শারীরিক উন্নতির খবরাখবর নিয়ে একটি ফেসবুক পেইজ খোলা হয়। অগ্রগতি নিয়ে দেয়া হতে থাকে আপডেট। এহেন ব্যতিক্রধর্মী খবর অনেক মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে এতে লাইক পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার। শত শত লোক কমেন্ট করে বেটি বি’র সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে। বেটি বি’র বর্তমান পরিচর্যাকারী জানিয়েছেন, বেটি বি ভালো আছে, সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে।
একটি ছবি শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন, বেটি ২০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্মেছে। এই বয়সী বিড়ালছানার জন্য এটিই আদর্শ ওজন। সে মজার, স্বতন্ত্র এবং বদমেজাজিও। তার মধ্যে বেঁচের থাকার তীব্র ইচ্ছা আছে।
এর আগে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার জন্য ফ্রাঙ্কেনলুই নামের আরেকটি ‘জেনাস ক্যাট’ গিনেজ ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছে। ২০১৪ সালে ১৫ বছর বয়সীর এই বিড়ালটি মারা যায়।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply