রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীতে পৃথক দুটি অভিযান করে ১ হাজার ৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ৩ জন কে আটক করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর জেলা সদরের কল্যাণপুর ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান করে র্যাব।
আটককৃতরা হলো, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ঝাঝড়ি বেগমপুর বিলপাড়া গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমানের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫), দামুরহুদা থানার মোহম্মদপুর কেরু আমতলা এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সজীব আহম্মেদ (২৮),মাগুড়া জেলা সদরের গাংনালীয়া থানার মৃত রেজাউল খানের ছেলে মোঃ রুহীন হোসেন বাপ্পী(২৫)।
র্যাব-৮,সিপিসি-২,ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক কোম্পানী অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান বিকেল পৌনে ৫টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পাওয়া যায়, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তবর্তী যশোর-বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত হতে আগত অবৈধ মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে রাজবাড়ী-গোয়ালন্দ রুট ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নিকটে পাইকারি বিক্রয় করে থাকে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজবাড়ী জেলার সদর থানাধীন কল্যাণপুর গ্রামস্থ চাতাল মার্কেটের সামনে রাজবাড়ী-ঢাকা মহাসড়কের উপর থেকে স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে একটি কালো রংয়ের প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ৩৫৭ বোতল অবৈধ মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এ সময় মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫) কে আটক করে তার কাছ থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ৪ টি সিম-কার্ডসহ ২টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫ হাজার টাকা এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৫নং ঘাটের সামনে থেকে স্থানীয় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে একটি নেভিব্লু রংয়ের প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ৬৪৮ বোতল অবৈধ মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোঃ সজীব আহম্মেদ (২৮) ও মোঃ রুহীন হোসেন বাপ্পী(২৫) কে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও অন্যান্য আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী জেলার সদর ও গোয়ালন্দঘাট থানায় পৃথক দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে ও উক্ত চক্রের অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
Leave a reply