রাজধানীর বনানীতে চীনের নাগরিক জিয়ানহুই গাও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আত্মসাতের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানী থেকে ঝাউয়ের মাটি চাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত গাও মোবাইল ফোনের যোগাযোগ মাধ্যম ‘উই চ্যাটে’ সক্রিয় ছিলেন। তারপর থেকে তিনি আর মোবাইল ফোনে সক্রিয় ছিলেন না। পরদিন দুপুরে পুলিশ বনানী এ ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ২৮ নম্বর বাড়ির পেছনের খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেয়া গাও’য়ের লাশ উদ্ধার করে। তিনি ওই বাড়ির ছয়তলায় ভাড়া থাকতেন। তাকে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দিয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার পর তাকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তের পর চীনা ব্যবসায়ীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনিরা তার পরিচিত এবং তার বাসায় যাতায়াত করত বলেও ধারণা করা হচ্ছে। কারণ খুনিরা জানত ১১ তলা ওই ভবনে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হলেও এগুলোর সংযোগ ছিল না।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গাউজিয়ান পদ্মা সেতু প্রকল্প ও পায়রাবন্দর নির্মাণ কাজে পাথর সরবরাহ করতেন। তার এ ব্যবসায় বাংলাদেশ এবং চীন উভয় দেশের অংশীদার রয়েছে। এক বাংলাদেশি গাও’য়ের ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
Leave a reply