বিশ্বে দূষণে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ৮৩ লাখ মানুষ। যত লোকের অকাল মৃত্যু হয়, তার প্রায় ১৫ শতাংশই মারা যায় নানা ধরনের দূষণে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু বায়ুদূষণের কারণে ঘটছে। বায়ুদূষণের সঙ্গে মাটি, পানি ও কর্মস্থলের দূষণের সরাসরি প্রভাবের শিকার হচ্ছে মানুষ। নতুন এক প্রতিবেদনে লোমহর্ষক এসব তথ্য উঠে এসেছে। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলুশনের (জিএএইচপি) ওই রিপোর্ট মতে, বায়ুদূষণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে বিশ্বের দেশগুলোর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ভারত। এর পরেই রয়েছে প্রতিবেশী চীন ও নাইজেরিয়া। এএফপি ও গার্ডিয়ানের খবর বলছে, স্বাস্থ্য ও দূষণবিষয়ক বৈশ্বিক জোটের (জিএএইচপি) প্রতিবেদন অনুসারে এ গ্রহে অকাল মৃত্যুর বড় পরিবেশগত কারণ হতে যাচ্ছে দূষণ।
২০১৭ সালে দূষণ আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটার ১০টি দেশের মধ্যে দরিদ্র দেশের পাশাপাশি কয়েকটি বৃহৎ ও ধনী দেশও রয়েছে। শীর্ষ দূষিত দেশগুলোর মধ্যে ভারতে পরেই রয়েছে চীন। ভারতে যেখানে ২৩ লাখ মানুষ দূষণে মারা যায় চীনে সেখানে মৃত্যু হয় আঠারো লাখ লোকের। এর পরে নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান রয়েছে। ৩২ কোটি লোকের যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখের মতো লোক দূষণাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। দূষণ আক্রান্ত দেশের তালিকায় সাত নম্বরে রয়েছে দেশটি।
জিএএইচপির নির্বাহী পরিচালক রাচেল কুপকা বলেন, এই প্রতিবেদন আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে দূষণ একটি বৈশ্বিক সংকট। আপনি কোথায় বাস করছেন, এটা কোনো ব্যাপার না, দূষণ আপনাকে খুঁজে বের করবে। বিশ্বের কয়েকটি দরিদ্রতম দেশে দূষণে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে পানি ও ঘরের ভেতরের বাতাস দূষিত হওয়ার কারণে বড় সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। মধ্য আমেরিকার দেশ চাদ ও উত্তর কোরিয়া তাদের অন্যতম। প্রতিবেদন বলছে, ভারতে নগরায়নের শিল্প-কারখানা ও যানবাহন সংক্রান্ত দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। সেখানে নিু আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা খুবই দুর্বল।
বায়ুদূষণের মধ্যে রয়েছে ওজনস্তরসহ ঘরে ও বাইরের নানা দূষক। অন্যদিকে অনিরাপদ পানি ও দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থায় কারণে ঘটছে পানিদূষণ। রিপোর্ট মতে, বায়ুদূষণের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। চীন, ভারত ও পাকিস্তান- এই তিন দেশে বায়ূদূষণে প্রতি বছর যথাক্রমে ১২ লাখ, ১২ লাখ ও ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যায়।
Leave a reply