বেসিক ব্যাংকের কর্মীদের বেতন কমানোর প্রতিবাদে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মীরা। বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সোমবার সকাল থেকে তারা এমডির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
জানা গেছে, রোববার বেসিক ব্যাংকের নিজস্ব বেতন কাঠামো বাতিল ও সব কর্মকর্তার বেতন কমিয়ে ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। সার্কুলারটি ব্যাংকটির সব শাখার প্রধানদের কাছেও পাঠানো হয়। চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করার কথা বলা হয় সার্কুলারে।
কিন্তু সোমবার এ সিদ্ধান্ত জানাজানি হওয়ার পর সকাল থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মীরা। তারা অবিলম্বে নির্দেশনা বাতিলের দাবিতে এমডির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন ও এমডিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসিক ব্যাংক বিগত সাত বছর ধরে ক্রমাগত লোকসানে থাকায় ২০১৩ সালের প্রবর্তিত ব্যাংকের নিজস্ব বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধাদি বাতিল করা হলো। এই সিদ্ধান্ত রবিবার (২২ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিগত সাত বছর লোকসান হওয়ায় আগের মতো বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না। অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের তুলনায় অত্যাধিক বেতন ভাতা চালু আছে বেসিক ব্যাংকে। এই অতিরিক্ত বেতন ভাতা ব্যাংকের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ‘চাকরি (ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান) (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫’ এর অনুরূপ কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন।
ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের বেতনকাঠামো বহির্ভূত অন্যান্য সুবিধাদি পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে প্রদান করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ৪৮৭ তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
Leave a reply