শিমুলিয়া কাওরাকান্দি-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ১১ ঘণ্টা পর আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। নাব্যতা সংকট ও ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
এরআগে মঙ্গলবার রাতে আকস্মিক ফেরি বন্ধ হওয়ায় যানবাহনের জটলা বেড়েছে। অ্যাম্বুলেন্স, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি, পণ্যবাহী যানবাহন, নৈশ কোচসহ সব মিলিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। এতে কনকনে শীতের মধ্যে যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
জানা গেছে, কুয়াশার কারণে রাতে এ রুটের সব ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়াও নব্যতা সংকটও ফেরি বন্ধ রাখার আরেকটি কারণ।
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঘাটের দুই প্রান্তে নৈশকোচসহ পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে কয়েকশ’ যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পদ্মায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার তীব্রতাও বাড়ে। এক পর্যায়ে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১১ টা থেকে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কুয়াশার তীব্রতা কমে আসলেই ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ঘন কুয়াশার কারণে সোমবার রাতেও সাড়ে ৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এর ফলে ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার দিকে যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ কিছুটা কমে আসলেও, প্রায় ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্টাক পারাপারের অপেক্ষায় আটকা রয়েছে। এ অবস্থায় আবারো ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটের যানজট পরিস্থিতি আরো নাজুক হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
Leave a reply