হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। বুধবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া জেলায় কুয়াশা ও হিমালয়ের হিম বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের প্রভাবে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। প্রতিদিন উত্তরের হিমেল বাতাসে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করছে তাপমাত্রা। তবে দিনের তুলনায় রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
সোমবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা বেশিরভাগ জেলা। অনুভূত হচ্ছে প্রচণ্ড শীত। সড়কে যান চলাচল করছে সীমিত আকারে। নৌরুটে বিঘ্নিত হচ্ছে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল। পাটুরিয়া-দৌলতিয়া রুটে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। গতকাল রাত থেকে পারাপারের অপেক্ষায় আছে হাজারের ওপর গাড়ি। তীব্র শীতের মধ্যে ঘাটে আটকা পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গন্তব্যমুখি মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবীরাও। ঘন কুয়াশার কারণে সবজির আবাদ নিয়েও আছে দুশ্চিন্তা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। আবহাওয়া অফিস বলছে, দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
Leave a reply