রাজ্যপালকে ছাড়াই এবার বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হল রাজ্যপালকে। দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও সিএএ ও এনআরসি নিয়ে ক্রমেই ছড়াচ্ছে প্রতিবাদের উত্তাপ। এরমধ্যে পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গোল্ড মেডেল (স্বণপদক) নিতে অসম্মত হলেন।
ম্যাস কমিউনিকেশনের স্নাতকস্তরে এবার স্বর্ণ পদক পয়েছেন রাবিহা আব্দুরহিম। কিন্তু এনআরসি ও সিএএ-এর প্রতিবাদে ময়দানে নামা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করলেন রাবিহার।
“জামিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে নামা পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদেই আমার এই সিদ্ধান্ত”, স্পষ্ট জানিয়েছেন রাবিহা। পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই টপার অবশ্য পরে নিজের ডিগ্রি সার্টিফিকেট নেন।
পদক প্রত্যাখ্যানের পর রাবিহা বলেন, ‘এই মেডেল আসলে আমার প্রতি, এবং দেশে বর্তমানে আন্দোলনরত প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি একটি অপমান। এটা প্রত্যাখ্যান করা আমার নিজস্ব প্রতিবাদ। এটা আন্দোলনরত প্রতিটি ছেলে, প্রতিটি মেয়ে, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আন্দোলনে থাকা প্রতিটি মানুষের প্রতি আমার সমর্থনের প্রতীক।”
পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। রাবিহা সিএএ বিরোধী জানার পর পুলিশ থাকে অনুষ্ঠান কক্ষে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। প্রেসিডেন্ট কোবিন্দের বক্তব্য হলের বাইরে দাঁড়িয়েই শোনেন রাবিহা।
এর পরেই গোল্ড মেডেল প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নেন রাবিহা। এদিকে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী রাবিহা রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান চলাকালীন স্লোগান দিতে পারেন বলে আশঙ্কা ছিল পুলিশ বিভাগের। এই অবস্খায় রাবিহাকে হিজাব খুলতে বলা হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
Leave a reply