আমরা গুলি খাওয়ার জন্যে জন্মগ্রহণ করিনি: অরুন্ধতী রায়

ভারতের জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (এনপিআর) প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রথিতযশা লেখক অরুন্ধতী রায়। বলেছেন, এনপিআর আসলে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের (এনআরসি) জন্যই তথ্যসংগ্রহ করবে। প্রথমেই এর বিরোধিতা করুন, এনপিআর করতে দেবেন না, প্রয়োজনে এনপিআরের সময়ে ভুল তথ্য এবং ঠিকানা দিয়ে এর বিরোধিতা করুন। সূত্র: এনডিটিভি।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অরুন্ধতী রায় দাবি করেন, দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও সরকার এনআরসি এবং সিএএ-র নিয়মকে এনপিআরের মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ (এনআরসি) মুসলিমদের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করবে। ওরা আপনার বাড়ি যাবে, আপনার নাম, ফোন নম্বর নেবে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথি দেখতে চাইবে। তারপর এনপিআর’র তথ্য এনআরসি-র হাতিয়ারে পরিণত হবে। প্রতিবাদ করতে হলে প্রথমেই করুন, রুখে দাঁড়াতে হলে আগেই রুখে দাঁড়ান।

তিনি বলেন, যখন ওরা আপনার বাড়িতে এনপিআরের জন্য তথ্যসংগ্রহে যাবে এবং আপনার নাম জিজ্ঞাসা করবে, আপনি তখন ওদের কাছে ভুল নাম বলুন। ঠিকানা চাইলে বলুন ৭, এতে ভাল রকমের বিভ্রান্তি তৈরি করা যাবে, মনে রাখবেন আমরা এখানে লাঠিপেটা বা গুলি খাওয়ার জন্যে জন্মগ্রহণ করিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও কড়া সমালোচনা করেছেন অরুন্ধতী। বলেছেন, দিল্লিতে নিজের সভায় মিথ্যে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এনআরসি গোটা দেশে প্রয়োগ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কখনও কিছু বলেনি-এসব কথা তার ছলচাতুরির অংশ। তিনি মিথ্যা বলেছেন কারণ তার হাতে সংবাদমাধ্যম রয়েছে।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তার পরামর্শ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি’র বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের বিভিন্ন রাজ্যের কাছে থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ের জন্যেও কাজ করা দরকার যেন ওই রাজ্য সরকারগুলি নাগরিকত্ব নিয়ে এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত না করে।

মুসলিমদের উপর হামলা ও নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের উপর হামলা চলছে। পুলিশ ঘরে ঘরে ঢুকে অবাধে লুটপাট চালাচ্ছে।