খোলাবাজার থেকে ঘড়ি কিনে এনে রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার জোগাড় এক জার্মানের। ঘড়ির ভেতর যে, ৫০ হাজার জার্মান মুদ্রা! পুরনো মুদ্রাগুলো ইউরোতে বিনিময় করে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি।
জার্মানির বিভিন্ন শহরে সস্তা পণ্যের খোলাবাজার বসে। লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের আউরিশ শহরে তেমন একটি বাজার থেকে ৬ মাস আগে একটি ঘড়ি কেনেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, ঘড়ির কাঠের প্যানেলের ভেতর ডয়েচমার্কের (জার্মানির পুরনো মুদ্রা) অনেকগুলো নোট।
ইউরো চালু হওয়ার পর ২০০১ সালে মুদ্রাটির প্রচলন বন্ধ হয়ে যায়। ঘড়িতে পাওয়া মুদ্রাগুলো নিয়ে ওই ব্যক্তি সরকারি ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অফিসে যান। সেখানে ছয় মাস রাখার পরও কেউ মালিকানা দাবি না করায় আইনগতভাবে ওই অর্থের মালিক হন তিনি।
পরে তা ভাঙিয়ে ২০০১ সালে ইউরো ও ডয়েচমার্কের বিনিময় মূল্য (১ ইউরো =১.৯৫৫ মার্ক) অনুযায়ী ২৫ হাজার ৫০০ ইউরো পেয়েছেন তিনি। এজন্য প্রায় পৌনে ছয়শ’ ইউরো শহর কর্তৃপক্ষকে ফি দিতে হয়েছে। জার্মানির নগদ অর্থকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক সংস্কৃতির কারণে প্রায়ই মানুষের ঘরে প্রচুর অর্থ পাওয়ার খবর মেলে।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৮ সালের তথ্যমতে, প্রায় ১২৫০ কোটি ডয়েচমার্কের হিসাব তাদের কাছে নেই। ডয়চে ভেলে।
Leave a reply