পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার বলেছেন, হিন্দু হওয়ায় পাক ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন অন্য ক্রিকেটাররা। তারা তার সঙ্গে খেতে চাইতেন না। ভালো পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও তিনি বারবার অবহেলার স্বীকার হয়েছেন।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে এখন উত্তাল ভারত। দেশটির সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্ব হারানোর শংকায় পড়েছেন! ঠিক সেই সময়ে এমন মন্তব্য করলেন শোয়েব। তা সত্য বলে জানিয়েছেন কানেরিয়া।
স্বভাবতই এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তোলপাড়। পাক-ভারত ক্রিকেটাররা এ নিয়ে সরব। দুই দেশের রাজনীতিবিদরাও কড়া কথা বলছেন। ধীরে ধীরে বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। এর অন্যতম হলেন ভারতের বিজেপি সাংসদ এবং সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর।
কানেরিয়াকে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পাকিস্তান দলে খেলতে হয়েছে। একে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন গম্ভীর। তার আক্ষেপ, যেদেশের প্রধানমন্ত্রী সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক, সেদেশের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। প্রকৃতপক্ষে এভাবে দেশটির আসল চেহারা আরেকবার বেরিয়ে এসেছে।
গম্ভীর দাবি করেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলে সংখ্যালঘু ক্রিকেটারদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় না। মোহম্মদ আজহারউদ্দিনের মতো ব্যক্তিত্ব দীর্ঘদিন এ দলের অধিনায়কত্ব সামলেছেন বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব এসেক্সের হয়ে খেলার সময় কানেরিয়ার বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ওই সময় তাকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
এরপর ফের ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন দানিশ। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানো কাণ্ডের মামলাও চলতে থাকে। ২০১৮ সালে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। ফলে তাকে ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।
পাকিস্তানের হয়ে ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেন কানেরিয়া। ৬১টি টেস্টে ২৬১ উইকেট শিকার করেন তিনি। আর ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৫টি উইকেট ঝুলিতে ভরেন এ লেগস্পিনার।
Leave a reply