পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
বহুল আলোচিত পরকীয়ার জেরে এমবিবিএস ডাক্তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে দেয়ার মামলায় অবশেষে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মম(৪৫)কে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে অভিনব পন্থায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রী সাবিনাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ভিকটিম ডাঃ মনির হোসেনের বোন ডাক্তার মারইয়াম আক্তার জলি বাদী হয়ে স্ত্রী, তার ভাই, পটুয়াখালী হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের নার্স গায়ত্রী রানী দাস এবং বাসার গৃহপরিচারিকা শাবানাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৫ তারিখ ২৩/১২/১৯ইং।
ওই মামলায় বাদী উল্লেখ করেন যে, ডাক্তার মনির হোসেনের স্ত্রী গত ৫ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর কাজীপাড়ার মৃধা ম্যানশনের নিজ বাসায় হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ভাইয়ের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়ে ময়লার বালতিতে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে মূমূর্ষ অবস্থায় ওই রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৭\৩২৬\১০৮ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম পরিচালিত শহরের হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের সত্ত্বাধিকারী ডাক্তার মনির হোসেনের সাথে জনৈক এক নারীর পরকীয়ার ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ ঘটনার জেরেই ৫ ডিসেম্বর রাতে ডাঃ মনিরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মম।
সূত্র জানায়, ওই ঘটনার পর ওই দিন স্ত্রী নিজেও আত্মহত্যার প্রয়াস চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীর ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম আইনানুগভাবে চলমান থাকবে। তাছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।
Leave a reply