লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে গন্ধব্যপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে না পেরে অধ্যক্ষ মো. ওমর ফারুককে জনসম্মুখে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহিমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মান্দারী বাজারের একটি দোকানের ভেতর অধ্যক্ষকে চড়-থাপ্পড় দেন তিনি। তবে মিজানুর রহিম বলেন, আমি অধ্যক্ষকে মারধর করিনি। ধমক দিয়েছি।
সূত্র জানায়, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। এরমধ্যে মিজানুর রহিম একজন ছিলেন। কিন্তু গত আগস্ট মাসে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রহমত উল্লাহ বিপ্লবকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়। কিন্তু মিজানুর রহিমকে সভাপতি করতে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি শাহজাহান কামাল একটি ডিউ লেটার (চাহিদাপত্র) দেন। লেটারটি পেয়ে মিজানুর রহিমকে সভাপতি করে একটি তালিকা ২২ ডিসেম্বর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। এখনো কমিটিটি অনুমোদন হয়ে আসেনি। এরমধ্যেই সভাপতি হতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে মান্দারী বাজারে মিজানুর রহিম এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় দেন। মিজানুর রহিম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক বলেন, এমপির ডিউ লেটার পেয়ে গত ২২ ডিসেম্বর মিজানুর রহিমকে সভাপতি করে একটি তালিকা মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো শিক্ষাবোর্ড থেকে সেটি অনুমোদন হয়নি। এর আগেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছেন। আমি ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বলেন, আমাকে না জানিয়ে অধ্যক্ষ আমার নামসহ ৩ জনের নাম সভাপতি তালিকায় প্রস্তাব করেন। এনিয়ে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি শাহজাহান কামাল আমাকে সভাপতি করার জন্য ডিউ দেন। কিন্তু আমার অজান্তে সভাপতি লিস্টে আমার নাম উল্লেখ ও পরে সভাপতি নির্বাচিত না করে আমাকে অপমান করা হয়েছে। এজন্য আমি অধ্যক্ষকে ধমক দিয়েছি। তাকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।
Leave a reply