টেস্টের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনতে চায় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচির বাড়তি চাপ সামলাতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চায় তারা। সদস্য বোর্ডগুলোর সাথে আলোচনা করে ২০২৩ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীন চার দিনের টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে চায় আইসিসি।
এ বছরের শেষ দুটি টেস্ট ছিলো বক্সিং ডে’তে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড দুটি টেস্টই শেষ চার দিনে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সাল থেকে খেলা টেস্ট ম্যাচের ৬০ শতাংশই গড়ায়নি পাঁচ দিনে।
পাঁচ দিনে ম্যাচ গড়াবে না ভেবে এ বছরের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবেই হয়েছে দুটি চার দিনের টেস্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছিল ইংল্যান্ড।
তা ছাড়া আইপিএল আর ভারতীয় বোর্ডের চাহিদার জন্য নতুন করে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ক্যালেন্ডার সাজানো কঠিন হয়েছে। এসব আইসিসিকে ভাবাচ্ছে টেস্টের দৈর্ঘ্য পাঁচ থেকে কমিয়ে চার দিনে আনতে।
চারদিনের টেস্টে প্রথাগত ৯০ ওভারের পরিবর্তে প্রতিদিন ৯৮ ওভার করে খেলা হবে। ফলে সব মিলিয়ে এক দিন কমলেও ওভার কমবে মাত্র ৫৮টি। এতে একটি টেস্টে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসন বলেন, ”এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত আমাদের। আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে বুঝতে হবে সবাইকে। দেখতে হবে গত ৫-১০ বছরে টেস্টগুলো গড়ে শেষ হয়েছে কত দিনে। কেউ বলছে না কাজটি সহজ। আইসিসির সব দেশের সঙ্গে বসেই কাজটি করতে হবে।”
তবে এতে ক্রিকেটারদের উপর বেশ ভালো প্রভাব পড়বে বলে মনে করে ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকা। সংগঠনটি প্রধান টনি আইরিশ মনে করেন এতে ক্রিকেটারদের উপর ধকল বাড়বে।
ফিকা (ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার’স অ্যাসোসিয়েশন) প্রধান টনি আইরিশ বলেন, এই পরিবর্তনে ভবিষ্যত কেমন হবে তা পরিষ্কার করতে হবে। বিষয়টি ক্রিকেটাররা বিবেচনা করে দেখবেন। চারদিনের টেস্ট সূচীর উপর চাপ কমালেও এতে ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে খেলোয়াড়রাই।
আইসিসি অবশ্য এখনই কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে না। সদস্য বোর্ডগুলোর সাথে আলোচনা করে ২০২৩ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীন চার দিনের টেস্ট শুরু করতে চায় আইসিসি।
Leave a reply