নবনির্মিত পটুয়াখালী (পায়রা)-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫২ মিনিটে গোপালগঞ্জ গ্রীড সাবস্টেশন প্রান্ত থেকে ৪০০ কেভি ভোল্টেজ দিয়ে লাইনটি চালু করা হয়।
প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল সার্কিটের হাইভোল্টেজ সঞ্চালন লাইনটি পটুয়াখালী জেলার পায়রা হতে পটুয়াখালী সদর-বরগুনা-ঝালকাঠি-বরিশাল-মাদারীপুর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্রে সংযুক্ত হয়েছে।
নবনির্মিত লাইনটির প্রতি ফেজ-এ চারটি করে অত্যাধুনিক তার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে অন্যান্য ৪০০ কেভি লাইনের তুলনায় এই লাইনের সঞ্চালন সক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি হবে। এ লাইনের মাধ্যমে পায়রায় নির্মিতব্য ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লাইন হওয়ায় ভবিষ্যতে ওই এলাকায় আরও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও তা এই লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা যাবে। পিজিসিবি’র গৃহীত ‘পটুয়াখালী (পায়রা)-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পায়রা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত লাইনটি নির্মাণ করতে চারটি খরস্রোতা নদী পার করতে হয়েছে। নদীগুলো হলো- পায়রা, সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও লাউকাঠি নদী। লাইনটি নেয়ার জন্য নদীগুলোর উভয়প্রান্তে সুউচ্চ রিভারক্রসিং টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
পিজিসিবি’র তত্ত্বাবধানে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং এ- কনস্ট্রাকশন করপোরেশন টার্নকী পদ্ধতিতে এ কাজ সম্পন্ন করেছে। ২০১৭ সালের ২৪ মে এ লাইন নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ লাইন নির্মাণের চুক্তি মূল্য ছিল ১ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি যৌথভাবে এ অর্থের জোগান দিয়েছে।
Leave a reply