যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া মতো না চললে অর্থায়ন-অনুদান বন্ধ বা কমিয়ে দেয়া হবে- এমন হুমকি গত এক সপ্তাহে একাধিকবার দিয়েছে ওয়াশিংটন। কখনো হুমকি দিয়েছে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে, আবার কখনো ক্ষোভ ঝেড়েছে খোদ জাতিসংঘের প্রশাসনের ওপর।
এবার হুমকি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলো দেশটি। আগামী ২০১৮-১৯ সালের জাতিসংঘের বাজেট তহবিলে নিজেদের ভাগের অংশ থেকে ২৮৫ মিলিয়ন ডলার কম দেয়া হবে বলে রোববার জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালি। টাকার অংকে তা ২ হাজার ৪শ কোটির মতো।
ঘটনার শুরু মূলত জেরুজালেম ইস্যু থেকে। গত ১৪ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে এই শহরের অধিকার নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি রয়েছে। উভয় দেশই জেরুজালেমকে নিজেদের মনে করে। আর বিশ্ব সম্প্রদায়ও দ্বি-জাতি তাত্ত্বিক সমাধানের অংশ হিসেবে এলাকাটিকে উভয় দেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার পক্ষে। জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বের এই অবস্থান স্বীকৃত।
কিন্তু বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে এককভাবে মার্কিনীদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি কেউ। তাই তুরস্কের আহ্বানে গত ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটির মাধ্যমে মার্কিন সিদ্ধান্তের বিপক্ষে প্রস্তাব পাস হয়। ভোটের আগের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেবে তাদেরকে দেয়া আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হবে। জাতিসংঘের মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালিও একই রকম হুমকি দিয়েছিলেন আরও একদিন আগে।
১২৮-৯ ভোটে মার্কিনীদের বিপক্ষে প্রস্তাব পাসে পর এখনো কোনো দেশকে দেয়া আর্থিক সহায়তা বাতিলের ঘোষণা না এলেও রোববার জাতিসংঘের সাড়ে ৫ বিলিয় ডলারের বাজেট পাসের সময় নিকি হ্যালি জানালেন এবার সংস্থাটির বাজেটে মার্কিন অনুদানের একটা বড় অংশ দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আগে থেকেই জাতিসংঘ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খরচ এবং অদক্ষতার অভিযোগ আছে। এসব বিবেচনায় নিয়েই বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Leave a reply