যুদ্ধ নয়, বরং শান্তি চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাননি তিনি। বলেছেন, তিনি শান্তি পছন্দ করেন। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের হামলা ও ভাঙচুরের পর এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি না।
নিউ ইয়র্কে খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপনে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি শান্তি পছন্দ করি।
এর আগে, ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগ ও পাথর নিক্ষেপ করেছেন। এতে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা প্রহরীদের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিকে নতুন চ্যালেঞ্জে ঠেলে দিয়েছে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা। এর আগে, ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিলেও উপসাগরীয় দেশটির বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছেন না বলে পরবর্তী সময়ে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দূতাবাসের ভেতর কূটনীতিকরা নিরাপদে রয়েছেন। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছেন দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা প্রধান ফটকের নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগ করেছেন। কিন্তু দূতাবাসের মূল কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেননি।
পেন্টাগন বলছে, দূতাবাস কর্মকর্তাদের রক্ষায় অতিরিক্ত মেরিন সেনা পাঠানো হয়েছে। ৮২-তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের সাড়ে সাতশ সেনাকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এসব অতিরিক্ত সেনাকে মোতায়েনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার জানান, মার্কিন স্থাপনা ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকায় যথাযথ এবং অতিরিক্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এই সাড়ে সাতশ সেনা আপাতত কুয়েতে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন অনুসারে চার হাজার সেনা অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে। স্থানীয় বাহিনীকে সমর্থন করতে পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা বর্তমানে ইরাকে অবস্থান করছে।
মিলিশিয়াদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের পর ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ হঠাৎ করেই নতুন উত্তেজনা পেয়েছে। বর্তমানে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাকে হামলা চালায়। তখনকার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে মেরে ফেলা হলেও দেশটিতে আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি।
Leave a reply