অপরিবর্তিত রয়েছে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। তবে উত্তরাঞ্চলে উন্নতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, দেশের ৩৫ ভাগ এলাকা বন্যায় তলিয়েছে।
পদ্মার উন্মত্তা বেড়ে সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি বইছে। এতে নতুন করে বন্যাকবলিত হয়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরাসহ তিন উপজেলার অনেক এলাকা।
পানি ওঠায় দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে নড়িয়া-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে চলাচল। ৪টি পন্টুন ডুবে থাকায় মাদারীপুরে কাঠালবাড়ী ঘাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানি না বাড়লেও আরিচা পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। তবে বেড়েছে মানিকগঞ্জের অভ্যন্তরে প্রবাহিত কালীগঙ্গা-ইছামতি-ধলেশ্বরীর পানি।
পানিবন্দি ঘিওর-দৌলতপুরসহ ৫ উপজেলার মানুষ। নওগাঁয় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকা। তুলসীগঙ্গা নদীর বাধ ভেঙে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। তিস্তা-ধরলা-দুধকুমারসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি কমায় উত্তরা ও মধ্যাঞ্চলে বন্যার উন্নতি হচ্ছে। তবে কমেনি বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরের নদীগুলোয় পানি নামতে শুরু করেছে। তিনি জানান, পদ্মায় আগামী ৭২ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি পেলেও পানি বৃদ্ধির হার অনেকটা কমে আসছে।
সাজ্জাদ হোসেন জানান, ১৯৮৮ সালে বন্যায় সারাদেশের ৬১ ভাগ, ৯৮ সালে ৬৮ ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। এবার তলিয়েছে ৩৫ ভাগ এলাকা।
/টিবিজে/কিউএস
Leave a reply