যৌন নিপীড়নের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের চেষ্টা চালিয়ে গুরুতর আহত খাদিজা খানম (১৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মারা যায় খাদিজা। খাদিজা শতদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও নড়াইলের লোহাগড়ার উত্তর পাংখারচর গ্রামের সেলিম সরদারের মেয়ে। ২৯ ডিসেম্বর যৌন নিপীড়নের এ ঘটনা ঘটে। ওই দিনই সে আত্মহননের চেষ্টা চালিয়ে গুরুতর আহত হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার উত্তর পাংখারচর গ্রামের কামাল শেখের ছেলে সাব্বির শেখ ওরফে ইমাম শেখ (১৮) মাঝে মধ্যে স্কুলে যাবার পথে খাদিজাকে উত্যক্ত করতো। সর্বশেষ গত ২৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুর থেকে পানি নিয়ে বাড়ি ফেরবার পথে উত্তর পাংখারচর গ্রামের বখাটে মোঃ সাব্বির শেখ ওরফে ইমাম শেখ (১৮) এবং তার সহযোগী একই গ্রামের নবির শেখ(২১) ও সজিব শেখ(২২) ওই ছাত্রীর পথরোধ করে ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে।
ছাত্রীর পরিবার ও গ্রামবাসীরা জানায়, যৌন নিপীড়নের অপমান সহ্য করতে না পেরে খাদিজা খানম (১৩) ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ফিরে ঘরের ফ্যানের সাথে নিজের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন খাদিজাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে খাদিজাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী মোঃ সেলিম সরদার অভিযোগ করেন, ওই বখাটে ও তার পরিবারকে বারবার সাবধান করেছি কিন্তু থামেনি। শুক্রবার দুপুর ১২টায় খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে খাদিজা খানম মৃত্যবরণ করেছে বলে তিনি জানান। এঘটনায় সেলিম সরদার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ৩০ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২২।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এস আই এনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রধান আসামি সাব্বির শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের পোস্টমর্টেম শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় খাদিজার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
Leave a reply