রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই ছাত্রী ঢামেকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে ঢাবির বাসে করে রাজধানীর শেওড়া নামেন ওই ছাত্রী। তারপরই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন স্থানে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে একা নির্জন স্থানে আবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে নিজের গন্তব্যে পৌছেন। তারপর রোববার রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
খবর পেয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে দেখতে ঢামেকে গিয়েছেন ঢাবির প্রক্টর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে রোববার দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীর। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। এটার লিগ্যাল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না, সুতরাং এটা পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবকিছু দিয়ে তদন্তে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আজ সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা।
Leave a reply