ট্রাম্পের বিপরীতে হাঁটলো পেন্টাগন: ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা করা হবে না

|

ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প।

রোববার তিনি বলেছিলেন, সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান কোনো ব্যবস্থা নিলে ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালাবে মার্কিন বাহিনী যেগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্ব বহন করে এমন স্থাপনাও থাকবে।

ইরানে হামলার হুমকির কথা পুনর্ব্যক্ত করে রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের বের করে দেওয়া হলে বাগদাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“যদি হয় তবে হোক। কিন্তু ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিলে মারাত্মক হামলা হবে,” বলেন ট্রাম্প।

ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় প্রেসিডেন্টের হামলার হুমকির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তা অস্বীকার করেন। কিন্তু রাতেই আবার ট্রাম্প বলেন, “রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা দিয়ে তারা আমাদের লোকদের হত্যা করতে পারে আর আমরা তাদের সাংস্কৃতিক স্থাপনা ছুঁতে পারব না? ব্যাপারটা সেরকম হবে না।”

এবার খোদ মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন হাঁটলো প্রেসিডেন্টের চেয়ে উল্টোপথে। নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে,মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সোমবার বলেছেন ইরানের সাথে সম্ভাব্য কোনো সংঘাতে দেশটির সাংস্কৃতিক কোনো স্থাপনায় হামলা করা হবে না।

এসপার এটাও স্বীকার করেছেন যে, কোনো সামরিক গুরুত্ব নাই এমন সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা করা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এসপারের এমন বক্তব্য ট্রাম্পের পুরোপুরি বিপরীত।

সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা বন্ধে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ইরাক ও সিরিয়ায় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে ইসলামিক স্টেটের হামলার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ১৯৫৪ সালের হেগ কনভেনশনে সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ৫২ জন কূটনীতিক ও মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেই সুনির্দিষ্টভাবে ৫২টি স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৪৪৪ দিন ধরে চলা জিম্মি সংকটের শেষ হয়েছিল ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply