শিশুদের জন্য দারুণ সব শীতপোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখন বাজারে। তারা নিজের আগ্রহেই যেন পরবে এসব। স্টাইলিশ প্যাটার্ন, পছন্দের সব কার্টুন আর রংচঙে নকশায় বর্ণিল এখন শিশুর শীতের পোশাক।
বছরের এ সময়টাতে ঠাণ্ডা লেগে শিশুর অসুখ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই ছোট শিশুদের এখন চাই একটু ভারি শীতপোশাক। তবে অনেক শিশুই শীতের পোশাক পরতে আগ্রহ দেখায় না।
তবে শিশুর শীতের পোশাকটি যদি হয় তার মনের মতো, তাহলে শীতের পোশাক পরে শিশু আরামও পাবে, আবার পোশাকটি পরে সে খুশিও থাকবে। প্রতি বছরই এখন ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ডিজাইন আর কাটিংয়ের শীতের পোশাক।
মজার মজার নকশা : বাজারে এখন শিশুদের জন্য স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, হ্যারি পটার, বেন টেন, অ্যাংরি বার্ডের ডিজাইনে তৈরি শীতের পোশাক যেমন আছে, তেমনি আছে সিনডারেলা, বারবি আর ডোরার ডিজাইনে তৈরি পোশাকও। কোনোটার সঙ্গে থাকে হুডির মতো কান ও মাথা ঢাকার টুপি।
যাতে খরগোশ বা বিড়ালের মতো কান দেয়া আছে। হরিণ, কুমির, হাঁস, হ্যালো কিটির ডিজাইনের পোশাকও রয়েছে। মেয়ে শিশুদের শীতের পোশাকগুলো করা হয়েছে শৈল্পিকভাবে। ফুল, লতাপাতা, প্রাণিজগৎ ও তারার মোটিফ সোয়েটার, জ্যাকেট বা জিন্সে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।
কাটেও বদল : পোশাকের কাটছাঁটেও এসেছে পরিবর্তন। বাচ্চাদের সোয়েটারগুলোর ঝুলে এসেছে ভিন্নতা। কিছু সোয়েটারের সামনে থেকে বুক খোলা, অনেক সোয়েটারের কোমরে রঙিন ফিতা বা বেল্ট ব্যবহার করা হয়েছে। গলার পাশে ফ্রিল পাতা বা কার্টুনের নকশা করা হয়েছে।
বৈচিত্র্যে ভরপুর : এবার মেয়ে শিশুদের জন্য ওভারকোট, কার্ডিগান, উল ও ক্যাশমেয়ার সোয়েটার বেশ চলছে। শিশুর শীতের পোশাকে জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের সেট, জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান বেশ চোখে পড়ছে। ছেলেদের জন্য আছে ডেনিমের রঙিন জ্যাকেট ও প্যান্ট। এছাড়া শিশুদের বৈচিত্র্যময় মাফলার, নতুন ডিজাইনের কানটুপি এসেছে বাজারে।
ছোট ছোট মাফলারে নানারকম ঝুল দেয়া হয়েছে। উল আর মখমল ছাড়া বাজারে শিশুদের জন্য পাওয়া যায় ফোমের জ্যাকেট। অবশ্য একটু ভারি শীতেই এ জাতীয় পোশাক কাজে দেবে। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে এ ধরনের পোশাকের ব্যবহার ভালো। ফতুয়া, ফ্রক বা টপস আকারের সোয়েটারও চোখে পড়ছে।
এই স্টাইলটায় নতুনত্ব এসেছে। এছাড়া কার্ডিগান আকারের সোয়েটার রয়েছে, যার কাটিংগুলো বেশ আকর্ষণীয় ও ভিন্নধর্মী। পকেটের দিকে ফুল, পাখি বা রঙিন কাপড়ের নকশা করা হয়েছে। আছে উলের তৈরি সোয়েটার।
এ ধরনের পোশাকের ফুল, লতা-পাতা, বিভিন্ন প্রাণী বা কার্টুন আছে। রংবেরঙের মাফলার, টুপি আর মোজাও কিনে দিন শিশুকে। হিমেল হাওয়ার দিনে এসব টুকিটাকি জিনিসে শিশু বেশ আরাম পাবে। শিশুদের জন্য টুইল, ভেলভেট আর ডেনিমের কাপড়, টেরি কাপড়, ভিসকোস আর পশমি কাপড়ের শীতের পোশাক বাজারে এসেছে। লাল, নীল, সবুজ, গোলাপি রঙের পাশাপাশি সাদা রঙের সোয়েটারও শিশুরা পছন্দ করছে।
আছে হুডিও : আজকাল হুডিযুক্ত পোশাক পরছেন বিভিন্ন বয়সীরা। শিশুদেরও এমন পোশাক কিনে দিতে পারেন। যেসব শিশু আলাদা টুপি পরতে অস্বস্তিবোধ করে, তাদের জন্য এ ধরনের পোশাক ভালো। হুডিযুক্ত পোশাক আর ট্রাউজারের সেটও কিনতে পারেন।
ফিটফাট বাবু : নিত্যদিনের শীতের পোশাক পরে তো আর শিশু অনুষ্ঠানে গেলে ভালো লাগবে না। তাই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য শিশুদের ফিটফাট বাবু সাজিয়ে দিন। এজন্য স্যুট-কোট, ব্লেজার পরা সাহেবের মতো পোশাকও দিতে পারেন। একটু খুঁজলেই শিশুদের উপযোগী টাইও পেয়ে যাবেন।
সতর্ক থাকুন : খুব ছোট শিশুদের শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি থাকে। ত্বকও থাকে অনেক কোমল। তাই শিশুদের কখনোই সিল্ক অথবা সরাসরি উলের পোশাক পরানো উচিত নয়। এতে শ্বাসকষ্ট কিংবা র্যাশ হতে পারে। তাই শীতে উলের পোশাকের নিচে শিশুকে পাতলা সুতি পোশাক পরিয়ে দিন।
সূত্র: যুগান্তর
Leave a reply