শুক্রবার ফজরের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরই মধ্যে ময়দান প্রস্তুতের কাজ প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। বরবারের মতো এবারও থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দানে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে এরইমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাবলিগ জামাত অনুসারি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন। মুসল্লিদের চাপে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত দেখা দিয়েছে ব্যাপক যানজট।
পুরো ইজতেমার ময়দানজুড়ে সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবেন। ২০ লাখ মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও স্থায়ী টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে।
আগামী ১০, ১১, ১২ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারী মুসল্লিরা এ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন। ১২ জানুয়ারি রোববার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা। ১৩ জানুয়ারি সকালের মধ্যে ময়দান ত্যাগ করবেন মুসল্লিরা। পরে মাওলানা সাদ পন্থী মুসল্লিরা আগামী ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হওয়া ইজতেমায় অংশ নেবেন। ১৯ জানুয়ারি দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
স্থান সংকুলান সমস্যার সমাধানে ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা তিনদিন করে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০১৮ সালে মাওলানা সাদকে ঘিরে বিবাদে লিপ্ত হয়ে পড়ে তাবলীগ জামাত। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর থেকে দুই পক্ষ আলাদা করে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করছে।
Leave a reply