স্ত্রীর সামনে মদ পান করে ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক চিকিৎসক।
বুধবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটিছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউনের অভিজাত আবাসন এলাকায়।
নিহত ওই চিকিৎসকের নাম ধর্মেন্দ্রকুমার চৌধুরী (২৮)।
আনন্দবাজার পত্রিকার জানিয়েছে, ইকো পার্কের এক অভিজাত আবাসনে স্ত্রী ভূমিকা ভাবনা চৌধুরীর সঙ্গে থাকতেন ধর্মেন্দ্রকুমার চৌধুরী। স্ত্রী ভূমিকা ভাবনাও পেশায় চিকিত্সক।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যার আগে ধর্মেন্দ্রকুমার স্ত্রীকে বাইরে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে ভাঙচুর চালান। তারপর নিজেই ঘরের এসি খুলে সেখান থেকে ঝাঁপ দেন।
তবে কেন তিনি এরকম করলে তা জানতে পারেনি পুলিশ।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শপিংয়ে যান। শপিং করে ফেরার সময় ধর্মেন্দ্র একটি মদের বোতল কেনেন।
বাড়ি ফিরে ধর্মেন্দ্র নেশা করতে শুরু করেন। তার মধ্যে তার কাছে একটি ফোন আসে। কোনো এক মক্কেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ই ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি।
ধর্মেন্দ্র এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন যে, ফোনটা রাখার পর জল না মিশিয়ে বোতল ধরেই মদ খেতে শুরু করেন। স্ত্রী ভূমিকা তাকে বাধা দিলে, তাকেও ঘর থেকে বের করে দেন।
নিহতের স্ত্রী ভাবনা পুলিশকে জানিযেছেন, তার স্বামী ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এর মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশও চলে আসে।
বাইরে থেকে পুলিশ এবং প্রতিবেশীরাও অনেক ডাকাডাকি করে দরজা খোলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এরমধ্যেই রাত পৌনে একটা নাগাদ ধর্মেন্দ্র নিজেই ঘরের এসির জানালা কেটে বাইরে বের হন এবং ১৩ তলা থেকে ঝাঁপ দেন।
তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a reply