দুর্ঘটনাবশত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এজন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার এক টুইট বার্তায় রুহানি লেখেন, শোকাহত পরিবারগুলোর জন্য আমি প্রার্থনা করছি। তাদের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলবে।
এর আগে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। ইরানের সামরিক বাহিনীর ভুলে এ দুর্ঘটনা উল্লেখ করে শনিবার টুইট করেছেন তিনি। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটিকে ‘কষ্টের দিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হঠকারিতায় এসব মানবিক ভুল ও দুর্যোগের দিকে ঠেলে নিয়েছে আমাদের। আমাদের জনগণ, নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জাতির প্রতি আমরা গভীর দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।
এদিকে, এক বিবৃতিতে ইরানি সামরিক বাহিনী জানায়, উড়োজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ছিল না। এটা ছিল ভুল। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান ২২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাচ্ছিল। উড়োজাহাজে কানাডার ৫৭ জন যাত্রী ছিল। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, তিনি বিভিন্ন সূত্রে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাও হতে পারে। একই মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইরান তখন এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করে।
গত বুধবার ১৭৬ জন আরোহীসহ ইরান থেকে ইউক্রেনগামী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহীরা সবাই মৃত্যুবরণ করেন।
Leave a reply