কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কোন সংবাদ প্রচার করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রোববার এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
‘সরকারি হাসপাতালের দর্শনার্থী ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামের ওই নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে, ‘গবেষণা, জরিপ অন্য কোনো তথ্য বা সংবাদ সংগ্রহের জন্য তথ্য সংগ্রহকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। সংগৃহীত তথ্য বা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। বিনা অনুমতিতে হাসপাতালের ভেতরে রোগী বা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের কোনো স্থির চিত্র বা ভিডিও চিত্র ধারণ করতে পারবেন না। সংগৃহীত তথ্য প্রকাশের আগেই বস্তুনিষ্ঠতা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।’
আরও বলা হয় ‘প্রত্যেক হাসপাতালে দর্শনার্থী পাস চালু করতে হবে এবং প্রতিটি পাসের জন্য নিরাপত্তা জামানত চালু করা যেতে পারে। রোগীর অসুস্থতা বিবেচনায় একজন রোগীকে সহায়তার জন্য সর্বোচ্চ দুজন দর্শনার্থীকে পাস দেয়া যেতে পারে। হাসপাতাল ত্যাগের আগেই পাস জমা দিয়ে নিরাপত্তা জামানত ফেরত নিতে পারবেন।’
হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মচারীদের বৈধ পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ‘আগত দর্শনার্থীদের জন্য পাস ইস্যু করার সময় নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, পরিদর্শনের কারণ ইত্যাদি তথ্যসম্বলিত রেজিস্টার সংরক্ষণ করা যেতে পারে। দর্শনার্থীবিষয়ক নিয়মাবলি রোগী ও রোগীর সহায়তাকারীদের অবহিত করতে হবে। এছাড়া এসব নিয়মাবলি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।’
এ নির্দেশনা জারির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আরও বলা হয়, ‘দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় এ খাতের অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। মানসম্মত ও নিরাপদ চিকিৎসা প্রদান করতে হলে রোগীর সঙ্গে আগত দর্শনার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরি। কেননা তাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক অভিজ্ঞতা এবং জীবাণু সংক্রমণ রোধে করণীয় বিষয়ে সাম্যক জ্ঞানের অভাবে অধিকাংশ সময় কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ বা পরিস্থিতির অবনতি হয়।’
এছাড়া ‘ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত দর্শনার্থী হওয়ায় হাসপাতালে নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা, ইউটিলিটি সার্ভিস, রোগীর গোপনীয়তা এবং চিকিৎসাসেবীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়’ বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a reply