জিতলেই বিপিএলে ফাইনালে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ক্রিস গেইলের ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ১৬৪ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন গেইল।
বিপিএল সাত আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলতে হলে ১৬৫ রান করতে হবে লিটন-রাসেলদের। এর আগে ২০১৬ সালের বিপিএলে ফাইনালে খেলে ঢাকার বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল রাজশাহী।
বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ ওভারে ২২ রানে ওপেনার জিয়াউর রহমানের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে উদ্বোধনীতে খেলতে নামেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া এ অলরাউন্ডার। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা বলটি জিয়ার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। ১২ বলে ৬ রানে ফেরেন জিয়া।
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। জিয়া-ইমরুল ফিরলেও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন গেইল। মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় বিপিএল চলতি আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম ফিফটি তুলে নেন চট্টগ্রামের এ ক্যারিবীয় ওপেনার।
তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি গেইল। আফিফ হোসেনের করা ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান গেইল। ঠিক পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। তার স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। ২৪ বলে ৫টি ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেরেন গেইল।
২ উইকেটে ৯৭ রান করা চট্টগ্রাম এরপর খেই হারিয়ে ফেলে। এরপর মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে গেইল-মাহমুদউল্লাহ-নুরুল হাসান সোহান এবং চাদউইক ওয়ালটনের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
দলীয় ৯৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যনা হিসেবে গেইল আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৭ বলে তিন চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন রিয়াদ।
শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একাই প্রতিরোধ গড়েন চট্টগ্রামের শ্রীলংকান ক্রিকেটার অ্যাশলে গুনারত্নে। ইনিংস শেষ হওয়ার ৭ বল আগে সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। ৯ উইকেটে ১৬৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন দলটির দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ইরফান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, গুনারত্নে ৩১; নওয়াজ২/১৩, ইরফান ২/১৬/)।
Leave a reply