যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বিমানে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিমানবন্দরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে সে দেশের পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার পর ফেরত পাঠায়। সাধারণত ফেরত আসা প্রবাসীদের খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
যুক্তরাষ্ট্র ফেরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ জানুয়ারি রাতে ৩১ জন বাংলাদেশি ফেরত আসার তথ্য পেয়েছি। শুধু তারাই নন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসছে। সেসব দেশে তারা বাধ্য হয়ে প্রবেশ করেছিলেন। ৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে তারা এসব দেশে যান বলে জেনেছি।
প্ররোচিত হয়ে বিদেশ না যাওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শরিফুল হাসান বলেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকা বাংলাদেশিদের ইউরোপের দেশগুলোও ফেরত পাঠাচ্ছে। তবে এসব বাংলাদেশির দেশে পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তাও দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশকেও বিষয়টি ভাবতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরা কয়েকজন বাংলাদেশি জানান, প্রায় ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ব্রাজিল থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে দেশে পাঠায়। কয়েকজন জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুলিশ তাদের আটক করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, নোয়াখালীর মো. নাসির উদ্দিন, রেদুয়ানুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল, মো. শহীদ, কুমিল্লার মাসুদ রানা, কিশোরগঞ্জের রুমান উদ্দিন, বরিশালের মো. রিফাত সরদার, সিলেটের সাহমি আহাম্মেদ, গাজীপুরের শরীফ সরকার।
এর আগে একই কারণে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ২৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় ১৪৫ ভারতীয় নাগরিককে সে দেশে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
Leave a reply