স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আব্দুর রহিম নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আব্দুর রহিম ওই এলাকার ইলিয়াস সরদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঈমান আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী।
নিহতের পিতা ঈমান আলী জানান, গুদারাঘাট এলাকায় ফারুকের ফোন ফ্যাক্সের দোকানের সামনে রহিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী তাকে এ খবর জানায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গলাকাটা অবস্থায় রহিম কে উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা রহিমকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তার পিতা ঈমান আলী।
ঈমান আলী আরও জানান, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে রহিমকে হত্যা করা হয়েছে। ছেলের হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার দাবি করে তিনি বলেন, যারাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক আমি তাদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ন্যায্য বিচার চাই।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত রহিমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কারা কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a reply