১৯৭১ সালে চালানো বর্বরতার জন্য যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে রায় ঘোষণা করা হয়। ৭১ সালেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে আশ্রয় নেয়া এই অপরাধীকে এরপর থেকেই দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রেড এলার্টও জারি করা হয়।
কিন্তু ব্রিটেনে অনেকটা প্রকাশ্য জীবনযাপন করলেও এতদিন মুঈনুদ্দীনকে খুঁজে পাচ্ছিল না ইন্টারপোল! শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান নিজেরা অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে বের করেছে পলাতক এই অপরাধীকে।
সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, নর্থ লন্ডনের সাউথগেটে ১ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড মূল্যমানের এক বাড়িতে বাস করছেন মুঈন। এক প্রতিবেশির বরাতে সান জানিয়েছে, তাকে প্রায়ই ওই এলাকায় বাজার করতে ও মসজিদে যেতে দেখা যায়। ইন্টারপোলের তো খুব বেশি খোঁজার প্রয়োজন নেই।
নিজ বাসায় সানের প্রতিবেদকের সাথে মঈনুদ্দীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার বিষয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে ফালতু বিষয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকে ‘প্রহসন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বলেও জানান এই আলবদর নেতা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল বেশ আগেই চৌধুরী মঈনুদ্দীনের নামে রেড নোটিশ জারি করে। ইন্টারপোলের পলাতক ২৫ জন মোস্ট ওয়ান্টেড ব্রিটিশের প্রকাশিত তালিকায় চৌধুরী মঈনুদ্দীনের ছবি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর আলবদর নেতা চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে ফাঁসির আদেশ দেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার দায়ে দণ্ডিত হয় চৌধুরী মঈনুদ্দীন। এছাড়াও একই অপরাধে ফাঁসির আদেশ পায় আরেক আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান।
Leave a reply