কয়েকদিনের মধ্যে নতুন সভাপতি বেছে নিচ্ছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দলটির বর্তমান কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডাই হতে যাচ্ছেন নতুন সভাপতি। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারণায় সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন নড্ডা। উত্তরপ্রদেশে তার পরিকল্পনায় ব্যাপক সাফল্য পায় দলটি। সেখানে ৮০টি আসনের ৬২টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি।
মোদি সরকারের প্রথম দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নড্ডা। বেশ কয়েক বছর ধরেই দলটির নীতিনির্ধারণের কাজও করছেন তিনি। আগামী সোমবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে অমিত শাহের উত্তরসূরি বাছাইয়ের পর্ব চলবে।
তবে দলের সভাপতির পদে না থাকলেও বিজেপিতে প্রভাব কমছে না অমিত শাহের। অনেকটা অটল বিহারি বাজপেয়ির আমলে লালকৃষ্ণ আদভানির যে ভূমিকায় ছিল, সেই ভূমিকায় দেখা যেতে পারে অমিত শাহকে। সেই সময় বাজপেয়ি ছিলেন উদার আর আদভানি ছিলেন কট্টর।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতির পদের জন্য সোমবার মনোনয়ন জমা দেয়া যাবে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই হবে দেড়টা পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। যদি একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেন ও তা গৃহীত হয়, সেক্ষেত্রে ভোটাভুটির প্রয়োজন হলে তা হবে পরের দিন- ২১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত। এর জন্য বিজেপির সব রাজ্যের সভাপতিসহ শীর্ষ নেতাকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে কোনো ‘অঘটন’ না ঘটলে নড্ডা ছাড়া আর কারও মনোনয়ন পেশ করার কথা নয়।
ফলে ভোটাভুটি পর্যন্ত পরিস্থিতি গড়ানোরও প্রশ্ন তেমন নেই। সোমবারই সেই কারণে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এতদিন বিজেপিতে সমীকরণ ছিল, সরকারের মাথায় নরেন্দ্র মোদি, দলের শীর্ষে অমিত শাহ। অমিতের হাত থেকে সভাপতি পদ চলে গেলে তার কী ভূমিকা হবে? তিনি কি শুধুই প্রধানমন্ত্রীর অধীনে আর পাঁচ মন্ত্রীর মতো নিজের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলাবেন? নাকি এর পরও দলে তার ভূমিকা থাকবে?
বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই যে, নতুন কেউ সভাপতি হলে মোদি-শাহ জুটির প্রভাব কোনো অংশে কমবে। দলের প্রভাব বজায় রাখতে হলে এই মুহূর্তে অমিতের বিকল্প নেই। তবে প্রাত্যহিক বিষয় সামলাবেন নতুন সভাপতি। কিন্তু অমিত শাহের নতুন ভূমিকা হবে ‘অটল জমানার আদভানির’ মতোই।
Leave a reply