চলতি বছরের আগামী ১৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই স্বর্ণ সন্তানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে টানা বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপিত হবে। জাতির পিতার এই জন্মশতবর্ষকে তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য প্রসঙ্গে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে আমাদের কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা জানাব। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যে ত্যাগ ও অর্জন, তা আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরব। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ ত্যাগ ও আত্মত্যাগের কথা ও সেই মহান ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরব।’
মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহারের নির্দেশনা: সামগ্রিকভাবে এই আয়োজনের জন্য যে লোগোটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উন্মোচিত হয়েছে, সেটা দেশে ও বিদেশের সর্বস্তরের বিভিন্ন আয়োজনে ব্যবহারের জন্য রয়েছে বিশেষ দিকনির্দেশনা। সেগুলো হচ্ছে-
১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত রঙ, বর্ণবিন্যাস এবং আকৃতি ছাড়া অন্য কোনো প্রকারে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে না।
২. সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি, সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সব ইমেইল, সরকারি পত্র, স্মারকপত্র, আধা-সরকারি পত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গে যথাযথভাবে মুজিববর্ষের লোগোটি ব্যবহার করা যাবে।
৩. সরকারি মালিকানাধীন সব বাস, ট্রেন, দাফতরিক গাড়ি, নৌযান, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে চলমান বাংলাদেশ বিমান, সামরিক এয়ারক্রাফট এবং ক্রুজে উপযুক্ত স্থানে; বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে এবং সাজসজ্জায় মুজিববর্ষ লোগোর নির্দেশিকা অনুসরণ করে নির্ধারিত ও আনুপাতিক হারে নান্দনিকভাবে লোগোটি ব্যবহার করা যাবে।
৪. জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে শুভেচ্ছা কার্ড এবং আমন্ত্রণপত্রে উক্ত লোগো ব্যবহার করা যাবে।
৫. জাতীয় পাঠ্যপুস্তক এবং সব সরকারি তথ্য বাতায়নে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে।
৬. সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার, নোটপ্যাড, স্টেশনারি, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি সব প্রচার সামগ্রীতে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে।
৭. কোনো ব্যক্তিগত বা বেসরকারি ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রডাক্ট, সেবার উদ্দেশ্যে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে না।
৮. সিগারেট, অ্যালকোহল, আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা অনুরূপ দ্রব্যাদিতে এই লোগো ব্যবহার করা যাবে না।
৯. বিভিন্ন ক্রীড়া, সাহিত্য, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার অনুষ্ঠানের আয়োজনে, প্রকাশনার ক্ষেত্রে লোগো ব্যবহার করা যাবে।
১০. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে নির্বাচিত লোগোটি ২৬ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া লোগো ব্যবহারের বিস্তারিত নির্দেশিকায় উলেখিত লোগোর ধরন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য লোগোর পটভূমির রঙ, লোগোর চতুর্দিকের ফাঁকা জায়গা কোথায় কতটুকু রাখতে হবে, গাঢ় পটভূমিতে লোগোর ব্যবহার, লোগোর মুদ্রণে রঙের নির্দেশনা, লোগোর ব্যবহারিক অবস্থান এবং লোগো ব্রান্ডিংয়ের উদাহরণও যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
ডিজাইন বিস্তারিত প্রকাশনায় মুজিববর্ষের জন্য যেসব সুভ্যেনিয়র ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন পেনড্রাইভ, মগ, টি-শার্ট, পতাকা, কলম, কোটপিন, এমনকি বাস, ট্রেন, বিমান বা বিভিন্ন ভবনে ব্যবহারের নির্দেশনাসহ, এ বিষয়ে কমিটি কর্তৃক একটি বিশেষ নির্দেশনা বই প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শতবর্ষ উদযাপনবিষয়ক ওয়েবসাইটে বিস্তারিত সংরক্ষণ করা হয়েছে।
Leave a reply