জয়নব ওরফে বীথি (২৫) প্রেমিকের বাসায় আসে। প্রেমিক কমলের (৩৫) রুমেই দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি, ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কমল রাগ করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। এর পরই মেয়েটি দরজা বন্ধ করে ভেতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরায় প্রেমিকের বাসায় নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর এ তথ্য জানান প্রেমিক কমলের বোন নয়ন। তবে এ ঘটনার পর পরই পালিয়েছে প্রেমিক।
ছোট বোন নয়ন জানান, দুই ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে কমল সবার ছোট। পূর্ব রামপুরার অষ্টম তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে তারা থাকেন। কমল একটা বিয়ে করেছিল। সেই সংসারে এক মেয়ে রয়েছে।
কমল ৬-৭ বছর ধরে মাদকাসক্ত। সে কারণে বছরখানেক আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কমল অধিকাংশ সময় বাইরে থাকত। আর বাসায় তার রুমটি বন্ধ থাকত।
মঙ্গলবার দুপুরে কমল ওই মেয়েটিকে নিয়ে বাসায় আসে। এ সময় বাসায় শুধু তার বৃদ্ধা মা ছিলেন।
সম্ভবত ওই মেয়ের সঙ্গে কমলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কমলের রুমেই দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি ও ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে কমল রাগ করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। এর পরই মেয়েটি দরজা বন্ধ করে ভেতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়।
পরে দরজা ভেঙে রুমে ঢোকার পর দেখা যায় মেয়েটি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে নেয়া হয় ঢামেক হাসপাতালে।
কমলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে বীথি তার প্রেমিক কমলের বাসায় গিয়ে প্রথমে ঝগড়া করে। পরে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয়। কমলের বড় বোন নয়ন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উদ্ধারকারী নয়নকে (কমলের বোন) আটক করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
Leave a reply