বঙ্গবন্ধু হত্যার ১১ বছর পর দেশে ফিরেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়েছে। বদলাতে হয়েছে স্কুল। তবু ওরা অনুসরণ করতো। বদলাতে হয়েছে বাসা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় আবারও ফিরে যেতে হয়েছে লন্ডনে। কিন্তু কেনো? যে শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে এনে দিয়েছে স্বাধীনতা, তার পরিবারের লোকজনকে কেনো দেশছাড়া হতে হবে? এমন প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক ববি’র।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে উপলক্ষে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আলোচনা সভায় ববি তুলে ধরেন ‘ইন্ডেমনিটি অরডিয়েন্স’ এর কারণে খুনীদের আস্ফালন, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও তাদের টিকে থাকার সংগ্রামের কথা।
ববি জানান, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ১১ বছর পর তিনি যখন দেশে এসে স্কুলে ভর্তি হন তখনও দেশ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং সেই হত্যার সমর্থকদের কব্জায়। সেসময় হঠাৎ একদিন তিনি জানতে পারেন- তার স্কুল বদলাতে হবে। কারণ হিসেবে যখন তিনি তার মা শেখ রেহানার কাছে জানতে চান ‘কেনো?’ তখন জানানো হয়- তিনি যে স্কুলে পড়ছেন সেখানে খুনীদের বাচ্চারা ভর্তি হয়েছে।
ববি বলেন- তখন মা’র (শেখ রেহানা) কাছ থেকে সেই ঘটনা শুনে প্রশ্ন জেগেছিলো- খুনিদের বাঁচাতে ‘দায়মুক্তির অধ্যাদেশ’ বা ‘ইন্ডেমনিটি অরডিয়েন্স’ কি কোনো আইন হতে পারে? অথবা সবাই জানা স্তত্ত্বেও চিহ্নিত খুনিরা কিভাবে প্রকাশ্যে বীর দর্পে ঘুরে বেড়াতে পারে?
ববি জানান- স্কুল বদলিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ তাদেরকে বাসা পর্যন্ত অনুসরণও করার ঘটনাও ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আবার ইংল্যান্ড চলে যেতে হয় তাদের।
তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রকৃত ইতিহাস জানায় স্বস্তি প্রকাশ করে ববি বলেছেন- আগে এই হত্যার প্রকৃত ঘটনা কেউ জানতো না। এখন নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবে, চিন্তা করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা অনলাইন-এফআর
Leave a reply