ভারতের বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের জঙ্গলিতে ডাকা স্থানীয় একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের অবস্থান ধর্মঘটে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে সানারুল বিশ্বাস (৬০) ও সালাউদ্দি শেখ (১৭) নামে দুইজন নিহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন তিনজন।
এ ঘটনায় তূণমূলের নেতাকর্মীদের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বুধবার সকালে ওই এলাকাটিতে সিএএ বাতিল ও এনআরসির বিরুদ্ধে ‘নবজাগরণ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বরাতে বলা হয়েছে, ওই সংগঠনে বিভিন্ন রাজনৈতির দলের কর্মীরা থাকলেও তারা মূলত অরাজনৈতিক একটি আন্দোলন তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।
নুর ইসলাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, এ দিন সকাল ৭টা থেকে সাহেবনগর বাজারে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন সমর্থনকারীরা। সাড়ে ৮টার দিকে তিন-চারটি গাড়ি এসে থামে বাজারের সামনে। ওই গাড়িগুলোতে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা।
সালাউদ্দিন শেখ নামে অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ওই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ধর্মঘটে সমর্থনকারীদের সরে যেতে বলেন। এর পরই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ইমদাদুল হক নামে অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত ছিলেন। তাদের নির্দেশেই সঙ্গে থাকা তৃণমূলের লোকজন বাজারে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে বোমা মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা প্রতিরোধ করতেই চলে যাওয়ার পথে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে দুইজন মারা যান ও তিনজন গুরুতর জখম হন।
Leave a reply