হঠাৎ পেশিতে টান ও প্রচণ্ড ব্যথাও পেয়েছেন আপনি। এ রকম অনেকেরই হয়।
শারীরবিজ্ঞান অনুযায়ী, আমাদের পায়ের মাসলগুলো তৈরি হয়েছে প্রচুর ফাইবার দিয়ে, যা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়। আর এতে আমরা গতি পাই। এবার এই মাংসপেশিগুলোর কোনো একটিতে আচমকা সংকোচন হলেই মাসল ক্র্যায়ম্প হয়। টান ধরে।
অনেক সময় ঘুমের মধ্যে এটি হতে পারে। পায়ের মাংসপেশিতে আচমকা প্রচণ্ড খিচুনি ধরে গেছে। এই উপসর্গকে যাকে বেসবল খেলোয়াড় চার্লি ‘হস’ র্যা ডবোর্নের নামানুকরণে ‘চার্লি হস’ বলে অভিহিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা।
কেন হয়?
১. ব্যায়াম না করার কারণে মূলত এটি হয়। শারীরিক কসরত করার পর মাংসপেশিতে ক্র্যারম্প ধরতে পারে। এর প্রধান কারণ অত্যধিক কসরতের পর মাংসপেশীগুলি এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
২ শরীরে ম্যা গনেসিয়াম, পটাশিয়ামজাতীয় ইলেক্ট্রোলাইটসের ঘাটতির ফলে মাসলে ক্র্যামম্প ধরে।
৩. বয়স বাড়লে মাংসপেশি এমনিতেই অল্পে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার ওপর আবার সেই সময় শরীরে তরল পদার্থের সামান্যি অভাব বোধ হলেই বয়স্ক, অবসন্ন মাংসপেশিতে ক্র্যাীম্প ধরে।
৪. উচ্চ কোলেস্টরল প্রতিরোধে ব্যাবহৃত স্ট্যালটিনের মতো ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে ক্র্যােম্প হয়।
৫. প্রতিবার প্রচণ্ড টান ধরে, যা আপনাকে কার্যত অচল, অসাড় করে দেয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কী করবেন?
১. এক, পা স্ট্রেচ করুন। আর দুই, যে মাসলে ব্যবথা, হালকা হাতে সেখানে ম্যাসাজ করুন। প্রয়োজনে তাপ প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
২. কোনো হিটিং প্যাড বা হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যাবহার করতে পারেন।
৩.এক্সারসাইজ করার আগে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খান।
৪. প্রতিবার ওয়ার্ক আউট করার পর পা স্ট্রেচ করুন মিনিট কয়েকের জন্যপ।
৫. ঘুমানোর আগেও পা স্ট্রেচ করার অভ্যারস করুন। যেন ঘুমের মধ্যে ক্র্যাতম্প না ধরে।
৬. খুব সমস্যাে হলে সাইক্লোবেনজাপ্রিন (ফ্লেক্সিরিল), মেটাক্সালোন (স্কেলাস্কিন) বা মেথোকার্বামোলের (রোবাক্সিন) মতো মাসল রিলাক্স্যালন্ট ব্যনবহার করে দেখতে পারেন।
কোনো কারণে বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
Leave a reply