Site icon Jamuna Television

করোনাভাইরাস: চীনকে বন্ধুত্বের পরিচয় দিল পাকিস্তান

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশ যখন চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তখন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশীয় দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস সোমবার থেকে চীনে নিজেদের ফ্লাইট চালু করে দিয়েছে। এর আগে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে– করোনাভাইরাস দেশের বাইরে রাখতে পারার বিষয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী।

এমন একসময় এই উদ্যোগ এসেছে, যখন বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনসগুলো চীনে তাদের ফ্লাইট সেবা স্থগিত করে দিয়েছে। এমনকি চীনে সফর করেছেন, এমন ব্যক্তির নিজ ভূমিতে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার।

কয়েক দশক ধরেই সব পরিস্থিতিতে নিজেদের বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলছে চীন-পাকিস্তান। গত কয়েক বছরে বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো উদ্যোগের অংশ হিসেবে পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলার ঋণ সহযোগিতা দিয়েছে প্রতিবেশী চীন।

২৮-৩০ হাজার পাকিস্তানি চীনে বসবাস করেন। ভাইরাসের কেন্দ্রভূমি উহানে ৫০০-এর মতো পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন।

সোমবার ইমরান খানের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা জাফর মির্জা বলেন, চীনে পাকিস্তানের ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। আজ সকালে চীন থেকে আসা যাত্রীদের আমি নিজে স্বাগত জানিয়েছি। একেক করে প্রতিটি বিষয় আমি পরীক্ষা করেছি। পর্যবেক্ষণে রাখতে এমন সন্দেহভাজন কোনো রোগী আমি পাইনি।

তবে পাকিস্তানে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ খুবই নিম্ন পর্যায়ের, সেখানে এমন উদ্যোগে ঝুঁকি রয়েছে।

ইসলামাবাদের শিফা আন্তর্জাতিক হাসপাতালের চিকিৎসক আতহার নিয়া রানা বলেন, করোনাভাইরাস চিকিৎসায় পাকিস্তান সক্ষম নয়। সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরীক্ষায় আমাদের কোনো স্থাপনা নেই।

পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আবদুল সাত্তার খোক্কার বলেন, সাপ্তাহিকভাবে বেইজিং-ইসলামাবাদের মধ্যে দুই ডজনের বেশি বিমান চলাচল করে।

২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিন বার চীন সফর করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনের নিপীড়নের ঘটনায় কোনো সমালোচনা করতেও অস্বীকার করেছেন তিনি।

Exit mobile version