রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এরআগে শুক্রবার সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে পাকিস্তানের মাঠে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন জাতীয় দলের এ তরুণ ব্যাটসম্যান।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভকে সঙ্গে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়তেই বিপদে পড়ে যান নাজমুল হোসেন। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১১০ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর মাত্র ৬৬ রানের ব্যবধানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন কুমার দাস। তাদের বিদায়ে ১৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম ম্যাচে নিজের খেলা ১৪তম ইনিংসে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন জাতীয় দলের এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে একাই লড়াই করেন মিঠুন। দলীয় ৫৫.৩ ওভারে ১৬১ রানে ৬ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন মিঠুন। সপ্তম উইকেটে ২৩.২ ওভার খেলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন তারা। প্রথম দিনের খেলা শেষ হতে তখন আর মাত্র বাকি ছিল ১১.১ ওভার।
খেলার এমন অবস্থায় দলীয় ২১৪ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল ইসলাম। হারিস সোহেলের বলে মিড-অপে ক্যাচ তুলে দিয় ফেরার আগে ৭২ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন তিনি।
তাইজুলের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হতে পারেননি পেসার রুবেল হোসেন। দলীয় ২২৯ রানে ফেরেন তিনি। এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। নাসিম শাহর করা বলটি মিঠুনে গ্ল্যাভসে লেগে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজোয়ানের তালুবন্দি হয়। ১৪০ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও এক ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন।
Leave a reply