এমবিবিএস চলতি সেশনে সব আসন পূর্ণ করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ২১ আসন শূন্য রেখেই ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, ২১টি আসন যেন ফাঁকা না থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএমডিসিকেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, একটি আসনও যেন শূন্য না থাকে, কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী যেন সরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।
তিনি বলেন, আমি প্রতিবেদন দেখে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। আরও ২১ জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই সেশনেই এমবিবিএসে ভর্তির সুযোগ পাবে।
প্রসঙ্গত, দেশের সরকারি ৩৬ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৬৮ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। ২০১৯ সালে ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রাপ্ত জিপিএ মিলে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে (মেধা ও পছন্দ) তাদের নির্বাচিত করা হয়। ১৫ অক্টোবর মেডিকেল ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ৪ হাজার ৬৮টি আসনের মধ্যে সাধারণ আসন ৩ হাজার ৯৬৬, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে এবং নাতি-নাতনির জন্য ৮২ এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়।
একই সঙ্গে মেধাভিত্তিক ৫০০ জনকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। আসন শূন্য হলে মেধা ও পছন্দ অনুযায়ী তারা ভর্তির সুযোগ পাবেন। অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রথম মাইগ্রেশনে অধিদফতর ২৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়। প্রথম মাইগ্রেশন থেকে ভর্তি শেষ দ্বিতীয় মাইগ্রেশনে ১৫৬ শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ডাকা হয়।
আর সর্বশেষ তৃতীয় মাইগ্রেশনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৭০ জনকেই ডাকা হয়। আর এতে ভর্তি শেষে আসন ফাঁকা থাকে ২১টি।
Leave a reply