একসাথে চার সন্তান প্রসব করলেন বৃষ্টি

|

????????????????????????

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে একসাথে চার সন্তানের জন্ম দিলেন নাছরিন আক্তার বৃষ্টি (২৬) নামের এক প্রসূতি। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বামীর পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। তবে নবজাতগুলো অপরিপক্ব (সময়ের আগে জন্ম) ও ওজনে কম হওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক কর্ণজিৎ মজুমদার।

শনিবার সন্ধ্যায় শহরের গুডহিল কমপ্লেক্স হাসপাতালের ১০তলার অপারেশন কক্ষে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিনি চার সন্তানের জন্ম দেন বৃষ্টি।

প্রসূতির ভগ্নীপতি ইউসুফ সুমন ও বড় ভাই মো. আজাদ জানান, নোয়াখালী পৌরসভার উজ্জলপুর এলাকার কাতার প্রবাসী মো. মোহন ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার বৃষ্টির সংসারে একটি পাঁচ বছর বয়সী কন্যা মুন রয়েছে। শনিবার দুপুরে বৃষ্টির প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে দ্রুত জেলা শহরের গুডহিল কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের ১০তলার অপারেশন কক্ষে ডা. লুৎফুন নাহারের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকারা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে চারটি সন্তান প্রসব করান।

ইউসুফ সুমন আরও জানান, প্রথমে বৃষ্টি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এর পরপর আরও তিন ছেলে প্রসব করেন বৃষ্টি। সন্তান প্রসবের সাথে সাথে তাদের সবাইকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক কর্ণজিৎ মজুমদার জানান, নবজাতকদের স্বাভাবিক ওজন আড়াই কেজি হয়ে থাকে। কিন্তু এই চার নবজাতকের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই কেজির থেকে অনেক কম হওয়ায় তাদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শ্বাস কষ্টে ভুগছে শিশুগুলো। নবজাতকগুলোর ওজন ১ কেজি ২৫০গ্রাম থেকে দেড় কেজির মধ্যে হওয়ায় তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়ার জন্য স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে একসঙ্গে জন্ম দেওয়ায় চার নবজাতকের জননী নাছরিন আক্তার আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনি এবং তার স্বামী চার সন্তান পেয়ে বেজায় খুশি। আল্লাহ যেন সন্তানদের সুস্থ রাখে এবং তারা যেন সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে তার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন এ দম্পতি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply