ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা লুটপাটই শুধু নয় অভিনব কায়দায় সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। ভুমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জাল দলিলে রেজিষ্ট্রেশন করে নেয়া হয় সাড়ে চার একরেরও বেশী জমি।
১২০ কোটি টাকা মুল্যের ও জমি দখলে সহযোগির ভুমিকায় ছিলো স্থানীয় কয়কেজন দখলবাজ। নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় গিয়ে পাওয়া গেলো এমন নানা অভিযোগের চিত্র।
রুপগঞ্জের ঢাকা সিলেট মহা সড়কের পাশেই সাওঘাট ঈদগাহ ময়দান। পাশেই মসজিদ মাদরাসা ও কবরস্থান। এর সাথেই মহাসড়ক বরাবর লম্বালম্বি বিশাল এলাকাই সরকারি খাস জমি জানতো এলাকাবাসী, যার লিজ বরাদ্দ ছিলো মসজিদের নামে।
সম্প্রতি সরকারি এই জমি বরাদ্দ নেয়ার দাবি করেন তারাবো এলাকার সদরুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে, দীর্ঘ দিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ারও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
র্যাবের অনুসন্ধানেও সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। হঠাৎ-ই আধুরিয়া মৌজার সরকারি ‘ক’ তফসিল ভুক্ত চার একর সাতষট্টি শতাংশ জমির মালিক হিসেবে উঠে আসে আলোচিত প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারের নাম। যা শুনে হতবাক এলাকাবাসী।
জমি কেনার সূত্রে পরিচয় হওয়া নজরুলের মাধ্যমেই আশপাশের এলাকায় বিপুল পরিমান জমি কেনেন আলোচিত পি কে হালদার। সেগুলো বন্ধক দেখিয়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এর মধ্যে নজরুলের নামেই নাম সর্বস্ব কোম্পানি বানিয়ে ভুয়া তথ্যে ব্যাংক একাউন্ট খোলেন পিকে হালদার। এমন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলার তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
Leave a reply