টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে যখন জয়সূচক রানটি নিলো রকিবুল হাসান, উল্লাসে ফেটে পড়লো টাইগার শিবির। বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে বাংলাদেশের পুরো দল তখন ছুটে এসেছে মাঠে। আনন্দ কী আর বাধ মানে? কিন্তু তখনই মাঠে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা ঘটে গেলো। রীতিমতো পরস্পরের দিকে তেড়ে গেলেন কয়েকজন। কী এমন ঘটেছিল মাঠে, যেজন্য পরে দুই অধিনায়ককেই কথা বলতে হয়েছে?
প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের আনন্দে বাংলাদেশের যুবাদের উল্লাসটা একটু বেশিই ছিল, সেটাই স্বাভাবিক। চোখের সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এমন বাঁধনহারা উদযাপন মেনে নিতে বিমর্ষ ভারতীয় যুবাদেরও কষ্ট হচ্ছিল নিশ্চয়। বাংলাদেশ দলের এক ক্রিকেটার তখন ভারতীয় এক ক্রিকেটারের সামনে গিয়ে উল্লাসে মত্ত হন। বাংলাদেশের উত্তেজিত উদযাপনের একপর্যায়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কয়েকজনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়ে যায়। কয়েক দফা পরস্পরের দিকে তেড়ে দু’দলের কয়েকজন ক্রিকেটার। অবশ্য, অন্য ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা তাদের নিবৃত্ত করেন।
ম্যাচ শেষে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী। বলেছেন, দু’দলের মধ্যে যা হয়েছে, তা না হলেই ভালো হতো। যদিও কী হয়েছে, পুরোটা আমি দেখিনি। তবে আপনি জানেন, ফাইনালে অনেক সময় আবেগ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেটেও এখন বড় দ্বৈরথ। আমি বলব, কোনো পরিস্থিতিতেই এমন কিছু (হাতাহাতি) হওয়া উচিত নয়। প্রতিপক্ষকে আমাদের সম্মান করা উচিত, খেলাটাকেও সম্মান করা উচিত। কারণ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। আমি আমার দলের হয়ে দুঃখপ্রকাশ করছি।
এই ঘটনায় কথা বলেছেন ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গও। বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনও সমস্যা ছিল না। খেলায় হার-জিত থাকবে, এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্তু ওদের প্রতিক্রিয়া ভীষণ খারাপ ছিল। ক্রিকেটে এমনটা হওয়া উতি নয়। তবে, সবকিছু ওকে।
Leave a reply